1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতির সময়ের মজুরি ও রেশন প্রদানের দাবি

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০২২
  • ১৩৩ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার :: চা-শ্রমিকদের ১৯ দিন কর্মবিরতি পালনের পর শ্রমিকরা কাজে দিলেও কর্মবিরতিকালীন সময়ের মজুরি ও রেশন থেকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছে চা-শ্রমিক সংঘ। ৩০ আগষ্ট গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক রাজদেও কৈরী ও যুগ্ম-আহবায়ক শ্যামল অলমিক এই অভিযোগ করে চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতিকালীন সময়ের মজুরি ও রেশন প্রদানের দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন দীর্ঘ ১৯ দিনের লাগাতার কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ, রাজপথ-রেলপথ অবরোধের মতো কঠিন সংগ্রামের পর প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণের পর গত ২৯ আগষ্ট থেকে সারাদেশের চা-শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। গত ৯ আগষ্ট থেকে চা-শ্রমিকরা দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছিলেন। দেশের ১৬৭ টি চা-বাগানে ৫ লক্ষাধিক চা-জনগোষ্টির মধ্যে স্থায়ী শ্রমিক প্রায় ১ লাখ, সেই হিসেবে একজন শ্রমিকের মজুরির উপর কমপক্ষে ৫ জনকে ভরনপোষণ করতে হয়। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে ৩০০ টাকা মজুরি পেলেও তো সেটা সম্ভব না। তারপরও শ্রমিকরা ১৭০ টাকা মজুরিতে বাধ্য হয়েই কাজে যোগদান করেন কিন্তু এখন শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও রেশন প্রদান করা হচ্ছে না। এছাড়া ২০২১-২০২২ সাল মেয়াদের জন্য মজুরি ১৭০ টাকা হিসেবে বর্ধিত ৫০ টাকা(১৭০-১২০ টাকা) মজুরির এরিয়ার টাকা দ্রæত পরিশোধ করার দাবি জানান নেতারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন প্রতিবার নির্ধারিত সময়ের পর শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করে স্থায়ী শ্রমিকদের বর্ধিত মজুরি এরিয়ার হিসেবে প্রদান করা হলেও প্রায় ৩০ হাজার ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের এরিয়ার( জনপ্রতি প্রায় ৩০ হাজার টাকা) টাকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা সাধারণত চা-উৎপাদনের মৌসুমে ৪/৫ মাস কাজ স্থায়ী শ্রমিকের সমান কাজ করেন। কিন্তু মালিকপক্ষ ক্যাজুলায় শ্রমিকদের রেশন, আবাসন, চিকিৎসা ইত্যাদি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়। যেহেতু মালিকদের টালবাহনা ও সময়ক্ষেপনের কৌশণের কারণে নির্ধারিত সময়ের পর( প্রায় ২০ মাস) মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে তাই ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের এরিয়ার টাকা পরিশোধ করতে হবে। নেতৃবৃন্দ ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের এরিয়ার টাকাসহ রেশন, আবাসন, চিকিৎসা ইত্যাদি সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান। একই সাথে শ্রমিকদের প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকাও যাতে যথাযথভাবে জমা হয় সে ব্যাপারে প্রফিডেন্ট ফান্ড অফিস ও শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের তদারকি করার আহবান জানাান। একই সাথে নেতৃবৃন্দ আগামী জানুয়ারিতে নতুন মজুরি নির্ধারণের জন্য যাতে চা-শ্রমিকদের আবারও রাজপথে নামতে না হয় সে ব্যাপারে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..